হজ করতে কত টাকা লাগে – সর্বশেষ আপডেট

হজ্ব ইসলাম ধর্মের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। তাই প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে লাখো মুসল্লি হজের জন্য সৌদি আরবের মক্কায় জমায়েত হন।

তবে আমাদের দেশে প্রতি বছর হজ যাত্রার খরচ বৃদ্ধি পায়। সরকার থেকে হজ যাত্রার খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বেসরকারিভাবে মৌলিক খরচের পাশাপাশি অন্যান্য আনুসঙ্গিক খরচ যেমন- খাওয়া-দাওয়া, বিমান ভাড়া, হোটেল ভাড়া ইত্যাদি মিলিয়ে একটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়ে থাকে। তাই আর্থিক সমস্যার কারণে অনেকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজ পালন করার জন্য যেতে পারে না।

আজকের আর্টিকেলে আমি ২০২৫ সালে হজ যাত্রায় কত টাকা লাগবে অর্থাৎ সরকার ঘোষিত দুইটি হজ প্যাকেজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

হজ প্যাকেজ

এই বছর ধর্ম উপদেষ্টা দুইটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। 

১। প্রথম প্যাকেজটি হলো তাদের জন্য যারা কাবা শরীফ থেকে ৩ কিলোমিটার দূরত্বে থাকবেন। 

২। দ্বিতীয় প্যাকেজটি হলো যারা কাবা শরীফ থেকে ১.৫ কিলোমিটার দূরত্বে থাকবেন তাদের জন্য। 

নিম্নে প্যাকেজ দুইটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ  

হজ প্যাকেজ- ১

হজ প্যাকেজ-১ এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা।

এই প্যাকেজটিতে হজ যাত্রীদের মক্কার মাসজিদ-আল হারাম ( কা’বা শরীফ) থেকে ৩ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া মদিনার মসজিদে নববী থেকে ১.৫ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসের ব্যবস্থা থাকবে। যাতায়াতের জন্য বাস-ট্রেনের ব্যবস্থাও থাকবে বলা হয়েছে।

এরপর মিনায় অবস্থান করার জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা থাকবে। তাঁবুর অবস্থান মিনার গ্রিন জোন (জোন-৫) এ  এবং মিনা-আরাফাতে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। হোটেলে থাকা-খাওয়ার সুযোগ এবং হোটেল রুমে রেফ্রিজারেটর ব্যবস্থা রয়েছে। মিনা থেকে আরাফাতের ময়দান, মুযদালিফা আবার মুযদালিফা থেকে মিনায় যাতায়াতের জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রি ওষুধ এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

প্রতিটি হজ যাত্রীকে খাবার বাবদ নূন্যতম ৪০ হাজার টাকার সমপরিমাণ সৌদি রিয়াল এবং কোরবানির জন্য ৭৫০ রিয়াল সাথে নিতে হবে। প্রতি ৪৬ জন হজ যাত্রীর জন্য একজন হজ গাইড থাকবে।

হজ প্যাকেজ- ২

হজ প্যাকেজ-২ এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। 

এই প্যাকেজটিতে হজ যাত্রীদের মক্কার হারাম শরীফ থেকে ১.৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে আবাসন এর ব্যবস্থা করা হবে। হারাম শরীফে যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা থাকবে। হারাম শরীফের নিকটবর্তী এলাকার পাশাপাশি মদিনার মার্কাজিয়া বা সেন্ট্রাল এরিয়াতেও হজ যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।

এরপর মিনায় অবস্থান করার জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা থাকবে। তাঁবুর অবস্থান মিনার ইয়ালো জোন ( জোন-২) এ  এবং মিনা-আরাফাতে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। হোটেলে থাকা-খাওয়ার সুযোগ এবং হোটেল রুমে রেফ্রিজারেটর ব্যবস্থা রয়েছে। মিনা থেকে আরাফাতের ময়দান, মুযদালিফা আবার মুযদালিফা থেকে মিনায় যাতায়াতের জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রি ওষুধ এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

বেসরকারি প্যাকেজ

সংখ্যাগরিষ্ঠ হজ যাত্রী সরকারিভাবেই হজ পালনের জন্য যেয়ে থাকেন। তবে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমেও হজে যাওয়া যায়। ধর্ম উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বেসরকারি এজেন্সিগুলো হজ প্যাকেজ-১ অনুযায়ী হজ যাত্রীদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

মসজিদে হারাম শরীফ থেকে ৩ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। হোটেলে এক রুমে সর্বোচ্চ ৬ জন লোকের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। । হারাম শরীফে যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা। একইসাথে মসজিদে নববী থেকে ১.৫ কিলোমিটার এরিয়ার মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা। 

মিনা থেকে আরাফাতের ময়দান, মুযদালিফা আবার মুযদালিফা থেকে মিনায় যাতায়াতের জন্য বাস-ট্রেনের ব্যবস্থা করা। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রি ওষুধ এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু হবে। আর ২৯ এপ্রিল ২০২৫ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে।

আরও পড়ুন

শেয়ার করুন

Leave a Comment