আপনি যদি কাজের ভিসায় বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনার BMET কার্ড থাকা আবশ্যক। আপনার বিএমইটি কার্ডের রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে আপনি সেটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অনেকেই জানে না কিভাবে বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে হয় তাই তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।
বিদেশে ওয়ার্কিং ভিসায় যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বিএমইটি কার্ড লাগবেই। বিএমইটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার পর সেটার ক্লিয়ারেন্স কার্ডের জন্য আবেদন করে BMET ID Card পেতে হয়। আজকের এই পোস্টে আমি কীভাবে BMET কার্ড ডাউনলোড করতে হয় সেটির নিয়ম দেখাবো। পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোমত পরলে আশা করি বুঝতে পারবেন।
BMET কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
বর্তমানে আপনি ঘরে বসে নিজের মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে প্রথমে amiprobashi.com ওয়েবসাইটে যেয়ে হোম পেইজের মেনুবার থেকে clearance card অপশনে ক্লিক করে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে এবং ক্যাপচা কোড পূরন করে সার্চ করতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার বিএমইটি কার্ড দেখতে পাবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।
আপনাদের সুবিধার্থে বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি নিচে দেখানো হলোঃ
ধাপ-১ঃ ওয়েবসাইটে প্রবেশ
প্রথমে আপনাকে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোন একটি ডিভাইস থেকে ব্রাউজারে গিয়ে সার্চবারে amiprobashi.com লিখে সার্চ করুন। তারপর এই https://amiprobashi.com/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন । এখন নিচের ছবির মতন একটি পেইজ দেখতে পাবেন।
এরপর মেনুবার থেকে ক্লিয়ারেন্স কার্ড অপশনটিতে ক্লিক করুন।
ধাপ-২ঃ পাসপোর্ট নাম্বার প্রদান এবং ক্যাপচা পূরন
Clearance card অপশনে ক্লিক করার পর একটি নতুন পেইজ প্রদর্শিত হবে। সেখানে চারটি বক্স দেখতে পাবেন। সেখান থেকে Get smart clearance card লেখা বক্সটি সিলেক্ট করুন।
তারপরের পেইজে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার ঠিকভাবে ইনপুট করুন। এরপর ক্যাপচাটি পূরন করে সার্চ অপশনে ক্লিক করুন।
আপনার বিএমইটি কার্ড প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনি সেটি নিচে দেখতে পাবেন।
ধাপ-৩ঃ কার্ড ডাউনলোড
এবার কার্ড ডাউনলোড করার পালা! পাসপোর্ট নাম্বার ও ক্যাপচা দিয়ে সার্চ করার পর আপনি স্ক্রল করে পেইজের নিচের দিকে গেলে আপনার BMET Smart card দেখতে পাবেন। তারপর সেটি pdf আকারে ডাউনলোড করে রাখবেন। যেকোন সময় সেটি প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন।
এভাবে উপরে দেয়া নিয়মে আপনি ঘরে বসে কয়েক মিনিটের মধ্যে নিজের বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন। যখন দরকার হবে তখন সেটি প্রিন্ট করে ইউজ করতে পারবেন।
BMET কার্ড করতে কি কি লাগে?
আপনার যদি বিএমইটি কার্ডের রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। আর BMET কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার কিছু ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো নিচে দেয়া হলোঃ
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- সর্বনিম্ন ১৮ এবং সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়সী নাগরিকেরা এটি করতে পারবে।
- শারীরিকভাবে কর্মঠ হতে হবে।
- পাসপোর্টের মেয়াদ মিনিমাম ৬ মাস থাকা লাগবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট থাকা লাগবে।
BMET কার্ড কি?
BMET এর পূর্ণ রূপ হলো- Bureau Of Manpower, Employment and Training ( বাংলায়- জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরো ) । BMET প্রধানত গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আয়োজিত ১৯৭৬ সালে জনশক্তির উন্নয়নের উদ্দেশ্যে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সংযুক্ত বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিদেশগামী কর্মীদের কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা করা।
BMET কার্ড এর প্রয়োজনীয়তা
যেসব নাগরিক বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে অন্য কোন দেশে যেতে চায় তাদের জন্য bmet card একটি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট। যারা মূলত কাজের জন্য বিদেশে যাবে তাদের এই কার্ডটি লাগবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে BMET কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে। যেমনঃ-
- সরকার প্রদত্ত নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য। যেমন-বিদেশে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে, চিকিৎসা গ্রহনের জন্য, মৃত ব্যক্তির লাশ দেশে আনার জন্য ইত্যাদি।
- বিদেশগামী শ্রমিকদের তথ্য হালনাগাদ করনের জন্য প্রয়োজন।
- শ্রমিকদের প্রশিক্ষন নিয়ে নিজেকে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য।
- টিটিসি ( TTC ) গ্রহনের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।
- ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে দরকার পড়ে ইত্যাদি।