পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে বাহরাইন ভিসা চেক ২০২৪

আপনি কি বাহরাইন যাওয়ার জন্য ভিসা করেছেন? অথবা ভিসা হয়েছে কিন্তু কিভাবে চেক করবেন ভাবছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

বাহরাইনে বর্তমানে প্রায় ২০০,০০০ লক্ষ বাংলাদেশী বসবাস করে এবং প্রতি বছর গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ ভ্রমণ করতে যায়। তাই এত মানুষের কথা চিন্তা করেই আমাদের এই পোস্ট। কারণ দালাল দ্বারা ভিসা করলে প্রায় সময়ই বিভিন্ন হয়রানির স্বীকার হতে হয়। তাই ভিসা করার পর অবশ্যই আপনার ভিসা যে কারণে করেছেন তা ঠিক আছে কিনা দেখে নিবেন।

তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে বাহরাইন ভিসা চেক

শুরুতেই আপনি আপনার পছন্দের যেকোন একটি ব্রাউজারে প্রবেশ করে নিচে দেওয়া লিংকটি ওপেন করুন।

https://lmra.gov.bh/en/eligibilityrc

লিংকটি ওপেন করলে নিচে দেওয়া ছবির মত একটি পেজ দেখতে পাবেন।

ভিসা চেক ওয়েবসাইট

পাসপোর্ট নাম্বার প্রবেশ

বাহরাইন ভিসা চেক ১

বাহরাইন ভিসা চেক ২

এই পেজে এরো দিয়ে দেখানো জায়গায় আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি টাইপ করুন এবং Choose a Country অপশনে বাংলাদেশ সিলেক্ট করুন। তারপর ক্যাপচা পূরণ করে Search বাটনে ক্লিক করুন।

ভিসার তথ্য যাচাই

Search বাটনে ক্লিক করার পর একটি নতুন পেজ দেখতে পাবেন। যেখানে আপনার ভিসার যাবতীয় সকল তথ্য দেওয়া থাকবে। যদি এই তথ্যগুলো ঠিকঠাক থাকে তাহলে বুঝবেন যে আপনার ভিসা হয়ে গেছে। আর যদি এখানে তথ্য ঠিক না থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার ভিসা হয়নি।

বাহরাইন সম্পর্কে কিছু তথ্য

বাহরাইন, আরব উপসাগরের একটি ছোট দ্বীপ দেশ, এই দেশ আকারে ছোট হতে পারে, কিন্তু এর সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং গতিশীল অর্থনীতি চোখে পড়ার মত।

প্রতি বছর অনেক বাংলাদেশী এখানে ভ্রমণ করতে অথবা কাজের জন্য আসেন। ২০২০ সালে এই দেশ থেকে বাংলাদেশের জনগণ প্রায় ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশে পাঠিয়েছে রেমিটেন্স হিসেবে। যা বাংলাদেশীদের জন্য সত্যিই গর্বের।

  1. দীর্ঘ ইতিহাসঃ বাহরাইন প্রায় ৪,০০০ বছরের চেয়েও বেশি পুরাতন একটি দেশ। এটি একসময় মধ্যপ্রাচ্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা ছিল। এ দেশে তাই এখনো অনেক পুরানো বিচিত্র্য নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।
  2. ধর্মীয় সহনশীলতাঃ এ দেশে মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা একে অপরের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করে। বাহরাইনে আলাদা আইনও করা হয়েছে যেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে।
  3. অর্থ এবং ব্যবসাঃ বাহরাইন অর্থনৈতিকভাবে খুবই শক্তিশালী ছোট আকারের দেশ হওয়া সত্ত্বেও। এখানে সুপরিকল্পিত ব্যাংকিক খাত এবং ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ রয়েছে।
  4. উৎসব এবং সাংস্কৃতিঃ বাহরাইনে অসংখ্য আর্ট গ্যালারী এবং জাদুঘর রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক উৎসবও এখানে উদযাপন করতে দেখা যায়।
  5. আধুনিক অবকাঠামোঃ বাহরাইনে কিছু অসাধারণ বিল্ডিং আছে যেগুলো দেখতে সত্যিই আধুনিক এবং অভিনব। এমনকি তাদের গাড়ির জন্য একটি বিশেষ রেস ট্র্যাক রয়েছে, যা দুর্দান্ত। জেনে অবাক হবেন যে, বাহরাইন Formula 1 Grand Prix এর মত বিশ্ববিখ্যাত মটরস্পোর্ট হোস্ট করে থাকে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।
  6. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঃ নগর উন্নয়ন সত্ত্বেও, বাহরাইন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। The Hawar Islands, বাহরাইনের উপকূলে অবস্থিত দ্বীপগুলির একটি গ্রুপ। সুন্দর সমুদ্র সৈকত এবং বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণীর জন্য এই দ্বীপপুঞ্জ পরিচিত।
  7. সুস্বাদু খাবারঃ বাহরাইনের খাবার আরব, পারস্য, ভারতীয় এবং আফ্রিকান রেসিপির ঐতিহ্য দ্বারা প্রভাবিত। মাচবুসের (Machboos) মতো সুগন্ধি চালের খাবার থেকে শুরু করে এখানে মাংসের সুস্বাদু কাবাবও রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের মশলার সমৃদ্ধি এ দেশের খাবারকে বিশ্বের সকল মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।

সংক্ষেপে, বাহরাইনের প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিকতা, অর্থনৈতিক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক প্রাণবন্ততার সংমিশ্রণ, বিশ্বের মানুষের কাছে ভ্রমণ অথবা কাজের জন্য অন্যতম একটি গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলেছে।

আরও পড়ুনঃ

আরও দেখুনঃ

শেয়ার করুন

Leave a Comment