পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে তুরস্ক ভিসা চেক

আপনি কি তুরস্ক যাওয়ার জন্য ভিসা করেছেন? অথবা আপনি তুরস্ক ভিসা করেছেন কিন্তু চেক করবেন কিভাবে তা ভাবছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ ভ্রমন করে থাকেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই ঘুরতে অথবা কাজের উদ্দেশ্য ভ্রমন করে থাকেন। এখন আপনি যদি দালালের মাধ্যমে ভিসা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই তুরস্ক যাওয়ার আগে আপনার ভিসা চেক করে নেয়া জরুরি। তা নাহলে দালাল আপনাকে ভুয়া অথবা জাল ভিসা ধরিয়ে দিতে পারে। ফলে আপনি টাকা এবং সময় উভয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন!!

আর ইন্টারনেটের যুগে আপনি ঘরে বসে কারও সাহায্য ছাড়াই নিজ মোবাইল, ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই অনলাইনে ভিসা চেক করে নিতে পারেন।

তুরস্ক ভিসা চেক

তুরস্ক ভিসা চেক করার জন্য আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে যেকোন একটি ব্রাউজার ওপেন করে এই লিংকে ( https://evisa.gov.tr/en/status/ ) যান।  এরপর ভিসায় থাকা রেফারেন্স নাম্বার এবং সিকিউরিটি ভেরিফিকেশন কোড টাইপ করে Continue অপশনে ক্লিক করলেই ভিসা চেক করতে পারবেন। 

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে তুরস্ক ভিসা চেক

আপনি চাইলে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়েও ভিসা স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা স্ট্যাটাস চেক করার জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করুনঃ

ধাপ ১ঃ প্রথমে যেকোনো একটি ব্রাউজার থেকে এই evisa.gov.tr/en/ ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করুন।

turkey visa check step 1

ধাপ ২ঃ ওয়েবসাইটে যেয়ে অন গোয়িং এপ্লিকেশন এ ক্লিক করুন। 

turkey visa check step 2

ধাপ ৩ঃ রেফারেন্স নাম্বার বক্সে রেফারেন্স নাম্বারটি লিখুন।

turkey visa check step 3

ধাপ ৪ঃ পাসপোর্ট নাম্বার বক্সে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং ইমেইল অ্যাড্রেস বক্সে আপনার ইমেইলটি লিখুন।

turkey visa check step 4

ধাপ ৫ঃ এরপর সিকিউরিটি ভেরিফিকেশন কোডটি টাইপ করে continue অপশনে ক্লিক করলেই আপনার ভিসা চেক এর ফলাফল দেখতে পারবেন।

turkey visa check step 5

এভাবে ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনুসরন করুন। যদি আপনার অ্যাপ্লিকেশন যথাযথ হয় তবে নিচের স্ক্রিনশটটির মত দেখাবে।

turkey visa check step 6

তুরস্কে যাওয়ার ভিসা করতে কত টাকা লাগে ?

যেকনো দেশে যাওয়ার জন্য আগে সেই দেশের ভিসা খরচ সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। তুরস্কে সাধারনত মানুষ কাজের ভিসা, ভ্রমণ ভিসা অথবা স্টুডেন্ট ভিসায় যেয়ে থাকে। নিচে ভিসার ধরন অনুযায়ী কেমন খরচ পরবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

১। ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসার খরচঃ

  • সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসাঃ ৫৮ ইউএসডি
  • ডাবল এন্ট্রি ভিসাঃ ১১৬ ইউএসডি
  • মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসাঃ ১৯৪ ইউএসডি

তুরস্কে যারা কাজ করার জন্য যেতে চান তাদের জন্য ভিসার খরচ তুলনামূলক অন্য ক্যাটাগরির ভিসার চেয়ে বেশি। যদি দালালের মাধ্যমে কাজের ভিসা করেন সেক্ষেত্রে সাধারনত ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। তবে সরকারি প্রক্রিয়া অনুসারে ভিসা পেলে, ভ্রমণের ব্যয় প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে অর্থাৎ ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য তুরস্কে বসবাসরত কারও সহায়তা পেলে ভিসা পাওয়া অনেকটা সহজতর হয়।

২। টুরিস্ট ভিসার খরচঃ 

আপনারা যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে টুরিস্ট ভিসা। টুরিস্ট ভিসার খরচ সবচেয়ে কম। 

  • সর্বনিম্নঃ ৫০০০ টাকা
  • সর্বচ্চোঃ ২০০০০ টাকা

টুরিস্ট ভিসায় আপনি ১ মাস থেকে ২ মাস পর্যন্ত বৈধভাবে সে দেশে অবস্থান করতে পারবেন। টুরিস্ট ভিসার দাম প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা । 

৩। স্টুডেন্ট ভিসার খরচঃ

উচ্চ শিক্ষার জন্য তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই পড়াশোনার জন্য তুরস্কে যাওয়ার আগ্রহ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আর সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসার প্রোসেসিং করতে মাত্র ৩ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে। স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে প্রায় ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়।

FAQs

১। তুরস্ক ই-ভিসা কি?

উঃ তুরস্ক ই-ভিসা হচ্ছে একটি ইলেক্ট্রনিক ভিসা যা ভ্রমণ, ব্যবসা অথবা ট্রানজিট এর জন্য অনুমদিত। এর মাধমে বাংলাদেশের নাগরিকরা স্থল, সমুদ্র এবং আকাশ পথে তুরস্কে যেতে পারবেন।

২। তুরস্ক ই-ভিসা অনুমোদন পেতে কতো দিন লাগে?

উঃ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তুরস্ক ভিসা অনুমোদিত হয়।

৩। তুরস্ক ই-ভিসা দিয়ে কতদিন তুরস্কে অবস্থান করা যায়?

উঃ আবেদনকারীর জাতিয়তার উপর নির্ভর করে তাকে তুরস্কে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। বাংলাদেশি নাগরিকরা ই-ভিসা দিয়ে ৯০ দিন বা ৩০ দিন থাকার অনুমতি পেতে পারে।

আরও দেখুন

শেয়ার করুন

Leave a Comment